কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারে দীর্ঘ এক মাস কারাভোগের পর জামিনে মুক্তি পেলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
সোমবার (৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টার সামান্য আগে এই দুই নেতার জামিনে মুক্তি পাওয়ার খবর নিশ্চিত করেন বিএনপি মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুল কবির খান।
শায়রুল কবির জানান, সন্ধ্যা ছয়টার সামান্য আগে কারাগার থেকে বের হয়েছেন বিএনপির সিনিয়র দুই নেতা। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাস নয়া পল্টনের বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের পথে রওনা হয়েছেন।
এদিকে, রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক মাস কারাভোগের পর সদ্য কারামুক্ত দুই নেতাকে কাছে পাওয়ার জন্য বিকাল থেকে হাজারো নেতাকর্মীদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। যেকোনো অপ্রীতিকর অবস্থা এড়াতে পল্টন, কাকরাইল মোড়সহ আশপাশের এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এতে এক জন বিএনপি সমর্থক নিহত হন এবং পুলিশসহ অর্ধশত ব্যক্তি আহত হন। সংঘর্ষের পর রাতের বেলা পুলিশ বিএনপির কার্যালয়ে অভিযান চালায়। পরদিন পল্টন, মতিঝিল, রমনা ও শাহজাহানপুর থানায় পৃথক চারটি মামলা করে পুলিশ। এতে ২ হাজার ৯৭৫ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়। তাদের মধ্যে নাম উল্লেখ করা হয়েছে ৭২৫ জনের। যদিও সেখানে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসের নাম ছিল না।
৮ ডিসেম্বর গভীর রাতে নিজ নিজ বাসা থেকে ফখরুল ও আব্বাসকে তুলে এনে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় ডিবি কার্যালয়ে। পরদিন তাদের পল্টন থানার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
গত ৩ জানুয়ারি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাসকে ৬ মাসের জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে কেন স্থায়ী জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারিও করেন আদালত।
পরদিন (৪ জানুয়ারি) বিএনপির এই দুই নেতার জামিন ঠেকাতে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। ওই আবেদনের শুনানির জন্য রোববার (৮ জানুয়ারি) দিন ধার্য করেছিলেন চেম্বার আদালত। এদিন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানিতে তাদের জামিন বহাল রাখা হয়।